চাঁদ পুর জেলা রেজিস্ট্রার আলী আকবর ও রাজবাড়ী জেলা রেজিস্ট্রার শেখ কাউছার আহমেদ বিরুদ্ধে রমরমা ঘুষ লুটপাট বানিজ্য দুর্নীতি অভিযোগ পাওয়া গেছে



মুজিবনগর সরকারের কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ পাওয়া সাব-রেজিস্ট্রার সোহরাব হোসেন সরকার এর বিরুদ্ধে রয়েছে ব্যাপক ঘুষ-দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ। সে আইনের অপব্যাখ্যা দিয়ে মোটা অংকের টাকা নিয়ে সরকারি খাস জমি নিবন্ধন, জমির শ্রেণি পরিবর্তনসহ খাজনা খারিজ ব্যাতিত ভূমি নিবন্ধন করছে অহরহ। ফলে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। দুর্র্নীতিবাজ সাব-রেজিস্ট্রার সোহরাব হোসেন সরকার এর বিরুদ্ধে দুদকে রয়েছে অভিযোগের পাহাড়। তার রয়েছে জ্ঞাত আয় বহির্ভুত প্রচুর ধন সম্পদ।
সরেজিমনে অনুসন্ধনে জানা যায়, দেশের শীর্ষ দুর্নীতিবাজ এ সাব-রেজিস্ট্রার সোহরাব হোসেন সরকার মুজিবনগর সরকারের ভূয়া সনদ দাখিল করে সাব-রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ পেয়েছেন
সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে যোগদান করেই নানা অপকর্ম করে দুহাতে কামিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা
। তারপর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে। সেখানে বনের জমি ব্যক্তিমালিকানায় দলিল রেজিস্ট্রি করে হয়ে জান টাকার কুমির। শত শত একর বনভূমি মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে বিভিন্ন কোম্পানীর নামে দলিল রেজিস্ট্রি করে রাতারাতি কোটিপতি বনে চলে যান নরসিংদী সদর সাব রেজিস্ট্রার সোহরাব হোসেন সরকার
শুরু করেন নানা ফন্দি ফিকিরের দুর্নীতি। দলিল মূল্যের ১% অগ্রিম গ্রহণ ব্যতিত দলিল করেন না তিনি। সেরেস্তা ফি’র নামেও আদায় করেন দলিল প্রতি ৫ হাজার টাকা। হেবার ঘোষনা দলিলে প্রতি শতাংশে ১০০০ টাকা, বিনিময় দলিলে প্রতি শতাংশে ৫শ টাকা, হাইভেল্যুর নামে আদায় করেন ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
নকল প্রতি নেন ১৫শ টাকা। ঘুষখোর এ সাব-রেজিস্ট্রার সোহরাব হোসেন সরকার সব ঘুষ-দুর্নীতির টাকা আদায় করে থাকেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলা রেজিস্ট্রারের অনুমতি ব্যতিত বহু দলিল কমিশনে রেজিস্ট্রি করে থাকেন তিনি। ডিআর এর নামেও বিভিন্ন খাত থেকে আদায় করে থাকেন প্রতি মাসে দেড় লাখ টাকা। দলিলের কমিশনে যেয়ে নরসিংদী সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের পিয়ন মাহবুব দাতা-গ্রহিতাদের ভয়ভীতি দেখিয়েও মোটা অংকের টাকা আদায় করে থাকে। কেউ টাকা দিতে অস্বীকার করলেই দলিল রেজিস্ট্রি বন্ধ রাখার অভিযোগ রয়েছে পিয়ন মাহবুব এর বিরুদ্ধে। দুর্নীতি দমন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, সাব-রেজিস্ট্রার সোহরাব হোসেন সরকার
বিরুদ্ধে তারা ২টি অভিযোগ দায়ের করেছে। ওদিকে সাব রেজিস্ট্রার সোহরাব হোসেন সরকার অবৈধভাবে জ্ঞাত আয় বহির্ভুত অর্থ কামিয়ে হয়েছেন রাজধানী ঢাকায় একাধিক বাড়ি, গাড়ি ও মার্কেটের মালিক।
দুর্ণীতিবাজ সাব-রেজিস্টার সোহরাব হোসেন সরকার দুদকের দুটির তদন্তকারী কর্মকর্তাকে চার্জসীট দিতে বিলম্ব করতে মাসিক মোটা অংকের টাকা দেয়া অব্যাহত রাখারও অভিযোগ রয়েছে। ফলে অভিযোগ
দুটি দায়েরের পর অতিবাহিত হলেও প্রমানিত অভিযোগ থাকা সত্বেও চার্জসীট না হওয়ায় তিনি থেকে যাচ্ছেন ধরাছোয়ার বাইরে তাই এলাকাবাসীর জোর দাবী দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক সঠিক ভাবে তদন্ত করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে বিস্তারিত আরও জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন
আপনার মতামত লিখুন