খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫, ২৭ চৈত্র, ১৪৩১

চাঁদ পুর জেলা রেজিস্ট্রার আলী আকবর ও রাজবাড়ী জেলা রেজিস্ট্রার শেখ কাউছার আহমেদ বিরুদ্ধে রমরমা ঘুষ লুটপাট বানিজ্য দুর্নীতি অভিযোগ পাওয়া গেছে

ক্রাইম রিপোর্টার আহসান হাবিব ঢাকা অফিস
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল, ২০২৫, ২:৫২ পূর্বাহ্ণ
চাঁদ পুর  জেলা রেজিস্ট্রার আলী আকবর ও রাজবাড়ী জেলা রেজিস্ট্রার শেখ কাউছার আহমেদ বিরুদ্ধে রমরমা ঘুষ লুটপাট বানিজ্য দুর্নীতি অভিযোগ পাওয়া গেছে
চাঁদ পুর জেলা  রেজিস্ট্রার আলী আকবর ও রাজবাড়ী জেলা রেজিস্ট্রার শেখ কাউছার আহমেদ এর  বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তিনি দীর্ঘদিন ধরে সিন্ডিগেট তৈরি করে ঘুষ বাণিজ্য করে থাকেন এমনটিই জানা গেছে সংশ্লিষ্ট ক্রেতা-বিক্রেতার নিকট থেকে। জমির নিবন্ধন, নামজারি, জাল দলিলে জমি দখলসহ নানা ঘটনায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন জমির মালিকসহ ভুক্তভোগীরা।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, আমরা কোনো দলিল রেজিস্ট্রির জন্য  সাব রেজিস্ট্রার অফিসে গেলে হয়রানির শেষ থাকে না। দিতে হয় মোটা অঙ্কের ঘুষ। ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ হবে না বলে প্রকাশ্যে জানিয়ে দেন জেলা -রেজিস্ট্রারসহ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ। আমরা তাদের কাছে জিম্মি। প্রকাশ্যে টিপসহি প্রতি ঘুষ নিচ্ছেন ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। কোনো অদৃশ্য শক্তির বলে প্রকাশ্যে এভাবে ঘুষ নেন একজন পিয়ন, তা আমাদের কাছে বোধগম্য নয়। এ ব্যাপারে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তারা।
সাধারণ মানুষের ধারণা সরকারি অফিস মানেই হচ্ছে ঘুষ বা অবৈধ লেনদেনের কারবারের জায়গা। সরকারি কর্মকর্তা মানে হচ্ছে জনগণের সেবক, এমন বিষয়টিই আমরা জেনে আসছি। কিন্তু তাঁরা আসলে কতটা জনগণের সেবক, তা নিয়ে জনগণের মনেই সব সময় সন্দেহ কাজ করে। আর সংবাদমাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি নিয়ে প্রকাশিত খবরাখবর থেকেই আমরা বুঝতে পারি বাস্তবতা আসলে কী বলে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েও বিগত সরকার ব্যর্থ হয়েছে। বরং কোনো কোনো জায়গায় ছাড় দিয়ে দুর্নীতিকে আরও প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এখন নতুন সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, তারা কি পারবে সরকারি অফিসগুলো দুর্নীতিমুক্ত করতে?
ঘুষ, চাঁদাবাজি বা অবৈধ লেনদেনের সব সময় বড় অভিযোগ ওঠে তহশিল অফিস ও সাবরেজিস্ট্রি অফিসগুলোকে কেন্দ্র করে। সাব-রেজিস্ট্রি অফিসগুলোতে জমির দলিলসহ সরকারি যেকোনো দলিল বা চুক্তিপত্র নিবন্ধন করা হয়। সরকারের রাজস্ব আদায়ের বড় উৎস এসব অফিস। কিন্তু অভিযোগ আছে, যত রাজস্ব এসব অফিস থেকে আদায় করা হয়, তার চেয়ে বহুগুণ অর্থ এখানে অবৈধভাবে লেনদেন হয়। এ নিয়ে সব সময় সংবাদমাধ্যমগুলো সরব থেকেছে। এরপরও দেশজুড়ে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসগুলোতে দুর্নীতির দৌরাত্ম্য কমেনি। অনেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলেও দিন শেষে পরিস্থিতি আগের জায়গায় গিয়েই ঠেকে।
অভিনব ঘুষ দুর্নীতি আর রমরমা দলিল বাণিজ্যের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন শেখ কাউছার আহমেদ  ও আলী আকবর  সাব রেজিস্ট্রার থেকে দুই জন হচ্ছেন  জেলা রেজিস্ট্রার । এখানে তাদের  কথায় শেষ কথা।  সাব রেজিস্ট্রার অফিসে মোটা অংকের ঘুষ ছাড়া কোনো কাজই হয় না। দলিল লেখক সমিতির কয়েকজন নেতা, দালাল সিন্ডিকেটের কতিপয় সদস্য ও তার কথিত সহকারীর মাধ্যমে প্রতিদিন সাব রেজিস্ট্রার হাতিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। সেই টাকার কিছু ৫০ পার্সেন্ট   জেলা রেজিস্ট্রার নিচ্ছেন এবং বাকি ৫০ পারসেন্ট  , স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও আইজিআর অফিসের নামে রেখে দিয়ে সমুদয় টাকা   তুলে নেন নিজের ঝুলিতে।
চাঁদ পুর জেলা রেজিস্ট্রার ও রাজবাড়ী জেলা রেজিস্ট্রার   অফিসে ঘুষ ছাড়া কোনো জমিই রেজিস্ট্রি হয় না বলে ভূক্তভোগীদের অভিযোগ। অপেক্ষাকৃত কম লেখাপড়া জানা মানুষকে “কাগজপত্রে সমস্যা আছে” এ কথা বলে দাবি করা হয় মোটা অংকের উৎকোচ। না দিলে জমি রেজিস্ট্রির ক্ষেত্র শুরু হয় নানান টালবাহানা। তার অফিসের ক্লার্ক থেকে শুরু করে সাব রেজিস্ট্রার অফিসের মোহরার, টিসি মোহরার ও সহকারীসহ সবাইকে ঘুষ দিতে সুকৌশলে বাধ্য করা হয়। সরকারি ‘ফি’ এর বাইরে কথিত সহকারীকে দিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হয়। ফ্রেশ জমিকে ডোবা, নালা, পতিত ও ধানী জমি বলে মোটা অংকের নজরানা নিয়ে রেজিস্ট্রি করা হয় গোপন চুক্তিতে।
সব মিলে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির নিরাপদ আস্তানায় পরিণত হয়েছে রাজবাড়ী জেলা  রেজিস্ট্রি অফিস ও চাঁদ পুর জেলা রেজিস্ট্রার অফিস। ভুক্তভোগীরা জানায়, বর্তমান জেলা -রেজিস্ট্রার আলী আকবর ৷ ও শেখ কাউছার আহমেদ   অফিসে যোগদান করেই অবৈধ উপায়ে দু’হাতে অর্থ উপার্জনে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।
সূত্র জানায়, জেলা  রেজিস্ট্রার প্রতিমাসে ৫০ লাখ টাকা অবৈধ উপায়ে উপার্জন করেন। নির্ভরযোগ্য সূত্রে প্রকাশ, সাব রেজিস্ট্রার  কোন কোন দিন ৮/১০ লাখ টাকাও অবৈধ পথে উপার্জন করে থাকেন। এই টাকার কিছু অংশ দিয়ে সবাইকে ম্যানেজ করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, তিনি কাউকে পরোয়া করেন না। তিনি দাম্ভিকতার সুরে বলেন, তার বিরুদ্ধে কেউ কিছুই করতে পারবে না। কারণ তিনি  সব জায়গাতেই সিস্টেম করে চলেন বলে জানিয়েছেন তার কথিত সহকারী। জমি রেজিস্ট্রেশনের কাগজপত্র ঠিকঠাক থাকার পরও দলিলপ্রতি নির্ধারিত হারে সহকারীর মাধ্যমে জেলা  রেজিস্ট্রারকে মোটা অংকের ঘুষ দিতে হয়। হাতিয়ে নেয়া হয় নাস্তা খরচের নামে হাজার হাজার টাকা।
এ অফিসে দলিলপ্রতি নির্ধারিত হারে উৎকোচ দেয়াটা বৈধ বলেই মনে করছেন ভূক্তভোগীরা।
সচেতন এলাকাবাসীর দাবি, প্রতিদিন অফিস সময়ের পরে ঘুষ/উৎকোচের টাকা নিয়ে বাসায় যাওয়ার সময় দুর্নীতি দমন কমিশন অভিযান পরিচালনা করলে জেলা  রেজিস্ট্রার ও তার কথিত সহকারীকে হাতেনাতে ঘুষের টাকাসহ আটক করা সম্ভব।
সচেতন মহলের অভিমত, দুর্নীতি দমন কমিশন গোপনে অভিযান পরিচালনা করলে অবশ্যই দুর্নীতিবাজ জেলা  রেজিস্ট্রার ও তার কথিত সহকারীর কোটি কোটি টাকার বেপরোয়া দুর্নীতির চিত্র বেরিয়ে আসবে। তার অনৈতিক উৎকোচ গ্রহণের কারণে রেজিস্ট্রেশন বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়ার পাশাপাশি অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের ভাবমূর্তিও ক্ষুন্ন হচ্ছে।
এ ব্যাপারে আইন মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন ও আইজিআর মহোদয়ের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীগণ।
অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে, সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে সব ধরণের অবৈধ লেনদেন বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা কর্মকর্তাকে যথাযথ জবাবদিহির আওতায় আনা হোক। (বিস্তারিত জানতে আমাদের সাথেই থাকুন; সারা বাংলাদেশের দুর্নীতিবাজদের মুখোশ উন্মোচন করতে আমরা আছি আপনাদের সাথে

ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হামলাকারীরা ‘আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের দোসর’: হেফাজতে ইসলাম

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:৪২ পূর্বাহ্ণ
   
ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হামলাকারীরা ‘আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের দোসর’: হেফাজতে ইসলাম

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ চলাকালে যেসব উচ্ছৃঙ্খল যুবক বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে লুটপাট করেছেন, তাঁদের ‘আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের দোসর’ বলে আখ্যা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। এর নেপথ্যে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ইন্ধনের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

একই সঙ্গে লুটপাটকারী ও হামলাকারীদের দ্রুত শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে হেফাজত বলেছে, লুটপাটকারী ও হামলাকারীরা কোনোভাবেই তৌহিদি জনতার অংশ হতে পারে না।

আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান।

বিবৃতিতে বলা হয়, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচির সুযোগে কিছু উচ্ছৃঙ্খল যুবক (আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের দোসর) দেশের কয়েকটি জায়গায় বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে লুটপাট করেছেন। লুটপাটকারী ও হামলাকারীরা কোনোভাবেই তৌহিদি জনতার অংশ হতে পারেন না। যাঁরাই হঠকারী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আলেম সমাজ ও তৌহিদি জনতাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করবেন, তাঁদের আলেম সমাজ প্রত্যাখ্যান করবে।

মুসলিম বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ ছাড়া দখলদার অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েলকে নির্মূল করা যাবে না বলে মনে করছে সংগঠনটি।

বিবৃতিতে তাঁরা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা দখলে নেওয়ার বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তাঁরা বলেন, এই বক্তব্য জাতিসংঘ সনদের ২ নম্বর আর্টিকেল লঙ্ঘন করে। গাজা একটি স্বাধীন ভূখণ্ড। বিশ্বের কোনো স্বাধীন ভূখণ্ড দখল বা নিয়ন্ত্রণের অধিকার তাঁর (ট্রাম্প) নেই। নেতানিয়াহুর দোসর হিসেবেই তিনি এমন বক্তব্য দিয়েছেন।

এসএসসি পরীক্ষা–২০২৫, প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়ালে আইনি ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: বুধবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:৩৯ পূর্বাহ্ণ
   
এসএসসি পরীক্ষা–২০২৫, প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়ালে আইনি ব্যবস্থা
আগামী বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) থেকে শুরু হচ্ছে ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এ বছর ১৯ লাখ ২৮ হাজার পরীক্ষার্থী দেশের বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এ পরীক্ষায় অংশ নেবে। সুষ্ঠু, সুন্দর ও সম্পূর্ণ নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আজ মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। প্রশ্নপত্র ফাঁস, গুজব, নকল বা অসদুপায় অবলম্বনের সঙ্গে জড়িতদের ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। কমিটির সভাপতি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবিরের সই করা এ–সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘আগামী বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) থেকে অনুষ্ঠেয় এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা সুষ্ঠু, সুন্দর ও সম্পূর্ণ নকলমুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে পরীক্ষার্থী যাতে পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট পূর্বে পরীক্ষার হলে আসন গ্রহণ করে ও মোবাইলসহ যেকোনো প্রকার ইলেকট্রনিক ডিভাইস বা নকল নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে না আসে এবং সামাজিক যোগাযোগ বা অন্য কোনো মাধ্যমে প্রশ্নপত্র পাওয়ার চেষ্ট না করে, সে বিষয়ে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টি করার জন্য পরীক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক সমাজ, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকেরাসহ সব নাগরিকের সহযোগিতা কামনা করছি। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস সম্পর্কিত গুজব ঘটনা, নকল/অসদুপায় অবলম্বনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পাবলিক পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) আইন ১৯৮০, তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি আইন ২০০৬ এবং এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা পরিচালনা নীতিমালা ২০২৫ অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

ভুয়া মুক্তি যোদ্ধা সাব রেজিস্ট্রার সোহরাব হোসেন সরকার বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে

ক্রাইম রিপোর্টার আহসান হাবীব নরসিংদী
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫, ১:৩৬ পূর্বাহ্ণ
   
ভুয়া মুক্তি যোদ্ধা সাব রেজিস্ট্রার সোহরাব হোসেন সরকার বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে

 

 

 

মুজিবনগর সরকারের কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ পাওয়া সাব-রেজিস্ট্রার সোহরাব হোসেন সরকার এর  বিরুদ্ধে রয়েছে ব্যাপক ঘুষ-দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ। সে আইনের অপব্যাখ্যা দিয়ে মোটা অংকের টাকা নিয়ে সরকারি খাস জমি নিবন্ধন, জমির শ্রেণি পরিবর্তনসহ খাজনা খারিজ ব্যাতিত ভূমি নিবন্ধন করছে অহরহ। ফলে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। দুর্র্নীতিবাজ সাব-রেজিস্ট্রার সোহরাব হোসেন সরকার এর  বিরুদ্ধে দুদকে রয়েছে অভিযোগের পাহাড়। তার রয়েছে জ্ঞাত আয় বহির্ভুত প্রচুর ধন সম্পদ।

সরেজিমনে অনুসন্ধনে জানা যায়, দেশের শীর্ষ দুর্নীতিবাজ এ সাব-রেজিস্ট্রার সোহরাব হোসেন সরকার   মুজিবনগর সরকারের ভূয়া সনদ দাখিল করে সাব-রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ পেয়েছেন

সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে  যোগদান করেই নানা অপকর্ম করে দুহাতে কামিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা

। তারপর  সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে। সেখানে বনের জমি ব্যক্তিমালিকানায় দলিল রেজিস্ট্রি করে হয়ে জান টাকার কুমির।  শত শত একর বনভূমি মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে বিভিন্ন কোম্পানীর নামে দলিল রেজিস্ট্রি করে রাতারাতি কোটিপতি বনে চলে যান নরসিংদী সদর সাব রেজিস্ট্রার সোহরাব হোসেন সরকার

শুরু করেন নানা ফন্দি ফিকিরের দুর্নীতি। দলিল মূল্যের ১% অগ্রিম গ্রহণ ব্যতিত দলিল করেন না তিনি। সেরেস্তা ফি’র নামেও আদায় করেন দলিল প্রতি ৫  হাজার টাকা। হেবার ঘোষনা দলিলে প্রতি শতাংশে ১০০০ টাকা, বিনিময় দলিলে প্রতি শতাংশে ৫শ টাকা, হাইভেল্যুর নামে আদায় করেন ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত।

নকল প্রতি  নেন ১৫শ টাকা।  ঘুষখোর এ সাব-রেজিস্ট্রার সোহরাব হোসেন সরকার  সব ঘুষ-দুর্নীতির টাকা আদায় করে থাকেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলা রেজিস্ট্রারের অনুমতি ব্যতিত বহু দলিল কমিশনে রেজিস্ট্রি করে থাকেন তিনি। ডিআর এর নামেও বিভিন্ন খাত থেকে আদায় করে থাকেন প্রতি মাসে দেড় লাখ টাকা। দলিলের কমিশনে যেয়ে নরসিংদী  সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের পিয়ন মাহবুব  দাতা-গ্রহিতাদের ভয়ভীতি দেখিয়েও মোটা অংকের টাকা আদায় করে থাকে। কেউ টাকা দিতে অস্বীকার করলেই দলিল রেজিস্ট্রি বন্ধ রাখার অভিযোগ রয়েছে পিয়ন  মাহবুব এর বিরুদ্ধে। দুর্নীতি দমন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, সাব-রেজিস্ট্রার সোহরাব হোসেন সরকার

বিরুদ্ধে তারা ২টি অভিযোগ   দায়ের করেছে। ওদিকে সাব রেজিস্ট্রার সোহরাব হোসেন সরকার  অবৈধভাবে জ্ঞাত আয় বহির্ভুত অর্থ কামিয়ে হয়েছেন রাজধানী ঢাকায় একাধিক বাড়ি, গাড়ি ও মার্কেটের মালিক।

দুর্ণীতিবাজ সাব-রেজিস্টার সোহরাব হোসেন সরকার  দুদকের  দুটির তদন্তকারী কর্মকর্তাকে চার্জসীট দিতে বিলম্ব করতে মাসিক মোটা অংকের টাকা  দেয়া অব্যাহত রাখারও অভিযোগ রয়েছে। ফলে অভিযোগ

দুটি দায়েরের পর  অতিবাহিত হলেও প্রমানিত অভিযোগ থাকা সত্বেও চার্জসীট না হওয়ায় তিনি থেকে যাচ্ছেন ধরাছোয়ার বাইরে তাই এলাকাবাসীর জোর দাবী দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক সঠিক ভাবে তদন্ত করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে বিস্তারিত আরও জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন