খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫, ২৭ চৈত্র, ১৪৩১

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে সাবরেজিস্ট্রার, গড়েছেন সম্পদের পাহাড়

ক্রাইম রিপোর্টার আহসান হাবিব
প্রকাশিত: বুধবার, ২ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:২৬ পূর্বাহ্ণ
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে সাবরেজিস্ট্রার, গড়েছেন সম্পদের পাহাড়

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ ও শিক্ষা সনদের চাকুরী পাওয়ার সুবাদে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে বানিয়েছেন  বাড়ি, একাধিক গাড়ী, অঢেল সম্পদের মালিক বনে গেছেন   নরসিংদী সদর  সাব রেজিষ্ট্রার সোহরাব হোসেন সরকার  অফিসে  তার গঠিত সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ছিলো। বিগত সময়ে আইজিআর  এর নিকট তার বিরুদ্ধে একাধিক লিখিত অভিযোগ দিলেও তার অবৈধ্য টাকার প্রভাবে সেই সকল অভিযোগ ধামা চাপা পড়ে যায়।

মুজিবনগর সরকারের কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ পাওয়া সাব-রেজিস্ট্রার সোহরাব হোসেন সরকার  বিরুদ্ধে রয়েছে ব্যাপক ঘুষ-দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ। সে আইনের অপব্যাখ্যা দিয়ে মোটা অংকের টাকা নিয়ে সরকারি খাস জমি নিবন্ধন, জমির শ্রেণি পরিবর্তনসহ খাজনা খারিজ ব্যাতিত ভূমি নিবন্ধন করছে অহরহ। ফলে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। দুর্র্নীতিবাজ সাব-রেজিস্ট্রার সোহরাব হোসেন সরকার ও নরসিংদী জেলা রেজিস্ট্রার আরিফুর রহমান  বিরুদ্ধে দুদকে রয়েছে অভিযোগ

দুর্নীতিতে সিদ্ধহস্ত নিবন্ধন অধিদপ্তরের অনেক সাব-রেজিস্ট্রার। ভূমি হস্তান্তরের দলিল নিবন্ধনে ঘুষ গ্রহণ, অর্থ আত্মসাৎ, জালিয়াতিসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত  সাব-রেজিস্ট্রার। সোহরাব হোসেন সরকার ও জেলা রেজিস্ট্রার আরিফুর রহমান  সেবাগ্রহীতাকে জিম্মি করে অবৈধভাবে অর্থ আদায়, জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে রাজস্ব ফাঁকি, নির্ধারিত ফির বাইরে অতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ নানান  অপকর্ম। চলছে

পদে পদে ঘুষ দিতে হয় নরসিংদী জেলা   রেজিস্ট্রার অফিসে   সদর রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে। ঘুষের বিনিময়ে শ্রেণি বদলের দলিল রেজিস্ট্রেশন তো চলছেই, বৈধ কাগজ থাকার পরও প্রতিটি দলিল সম্পাদনে নেওয়া হচ্ছে সাড়ে ৫ হাজার টাকা করে। তল্লাশ ও নকল লেখায় নেওয়া হচ্ছে আরও দুই হাজার টাকা। এ ছাড়া বালাম বইয়ের পাতা চুরিসহ নানা জাল-জালিয়াতি তো আছেই। এসবের বিনিময়ে মাসে কয়েক কোটি টাকা ঘুষ বানিজ্য করছেন নরসিংদী সদর সাব রেজিস্ট্রার সোহরাব হোসেন সরকার ও  জেলা  রেজিস্ট্রার আরিফুর রহমান লুটপাট করে  গড়ে তুলেছেন অবৈধ সম্পদের পাহাড়। ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে এই সম্পদ বানিয়েছেন  বলে জানা গেছে।   অনুসন্ধানে জানা গেছে আওয়ামী সুবিধাভোগী সাব-রেজিস্টার সোহরাব হোসেন সরকার  ও জেলা  রেজিস্ট্রার আরিফুর রহমান  সম্পর্কে নানান চাঞ্চল্যকর তথ্য।

সাব-রেজিস্টার হিসেবে চাকরি করতে এসে  শুরু করেন।  দুহাতে টাকা কামাতে শুরু করেন। স্ত্রী-সন্তান, আত্মীয়দের নামে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগ করেন সেসব টাকা। অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ১৫ বছরে  প্রায় ৫২ কোটি টাকা পাচার করেছেন দেশের বাইরে।   বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ ছিল আগে থেকেই। আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ হওয়ার কারণে সেসব অভিযোগকে পাত্তা দেননি সাব রেজিস্ট্রার সোহরাব হোসেন সরকার  প্রভাব খাটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় চাকরি করে গেছেন। শেষে আওয়ামী নেতাদের দখলদারিকে আইনি বৈধতা দিতে  এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের জমি আওয়ামী নেতাদের দখল ও বৈধকরণে ভূমিকা রাখেন সাব রেজিস্ট্রার সোহরাব হোসেন সরকার ও জেলা রেজিস্ট্রার আরিফুর রহমান  মিলে । পরিবর্তে সাধারণ মানুষের হয়রানি ওঠে চরমে। আর দুহাতে অবৈধ টাকা কামাতে থাকেন তাঁরা

চাকরি জীবনে অসংখ্য দুর্নীতি এবং অনিয়ম করে টাকার পাহাড় গড়েছেন । ভুয়া নামজারী দিয়ে দলিল করা, খাজনা আদায়ের রিসিট ছাড়া দলিল করা, গৃহায়নের সেল পারমিশন বহিভূর্ত ফ্ল্যাটের দলিল করা, দলিলে ফিস দাগানোর ফলে অবৈধ কাজের দ্বারা অর্জিত বিপুল অর্থ যা দ্বারা সাব রেজিস্ট্রার সোহরাব হোসেন সরকার ও জেলা রেজিস্ট্রার আরিফুর রহমানের   নামে-বেনামে কোটি কোটি টাকার সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। এমনকি সরকারের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন সাব-রেজিস্টার  সোহরাব হোসেন সরকার

মানুষকে নানান বিড়ম্বনায় ফেলে, আইনি ভীতি প্রদর্শন করে অবৈধ অর্থ উপার্জন করতে শুরু করেন।

এ ব্যাপারে  একাধিক ভুক্তভোগীর অভিযোগ এসেছে।  সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন  । দালাল এবং নকল নবিসদের নিয়ে তৈরি এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রতিমাসে হাতিয়ে নেন বিপুল পরিমান টাকা।

দায়িত্বকালে জমি রেজিস্ট্রেশনের সময় রাজস্ব হিসেবে জমাকৃত পে-অর্ডার, ব্যাংক ড্রাফট ও চেক ব্যাংকের হিসেবে নির্ধারিত সময়ে জমা হয় না। এ কারণে এসব পে-অর্ডার ও চেক সংশ্লিষ্ট দফতর হতে খোয়া গেছে একাধিকবার। জালিয়াতির মাধ্যমে এ সব অর্থ আত্মসাত করেছেন  জমি রেজিস্ট্রিকালে জমাকৃত জাল পে-অর্ডার, ব্যাংক ড্রাফট কিংবা চেক নির্ধারিত সময়ে জমা না দেয়ার কারণে ধরা পড়েনি। এসব চেক ও পে-অর্ডার এন্ট্রি দেয়ার জন্য রক্ষিত রেজিস্ট্রারের সকল কলামগুলো পূরণ করা হয়নি। রেজিস্ট্রেশন ম্যানুয়েল অনুযায়ী ক্যাশ ট্রানসেকশন রিপোর্ট বা সিটিআর নিয়মিত ব্যাংকের সাথে মিলিয়ে সংরক্ষণ করার বিধান থাকলেও বাস্তবে তা সংরক্ষণ করা হয়নি। পে-অর্ডার কিংবা চেক সময়মতো রাজস্ব খাতে জমা না হলে তা সংশ্লিষ্ট ইস্যুকারী ব্যাংকে দাবিদারবিহীনভাবে পড়ে থাকে। এক সময় তা ব্যাংকের অসাধু কর্মকর্তা আত্মসাতের সুযোগ পায়। এভাবে এই খাত থেকেও টাকার ভাগ নিয়েছেন সাব রেজিস্ট্রার সোহরাব হোসেন সরকার  ও জেলা  রেজিস্ট্রার আরিফুর রহমান   বিস্তারিত আরও জানতে আমাদের সাথে থাকুন এবং সারা বাংলাদেশের দুর্নীতি বাজ দের মুখোশ খুলে দিতে আমরা আছি আপনাদের মাঝে নিউজ তৃতীয় পর্ব  বিস্তারিত আরও জানতে চতুর্থ পর্ব  চোখ রাখুন

 

 

ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হামলাকারীরা ‘আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের দোসর’: হেফাজতে ইসলাম

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: বুধবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:৪২ পূর্বাহ্ণ
   
ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হামলাকারীরা ‘আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের দোসর’: হেফাজতে ইসলাম

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ চলাকালে যেসব উচ্ছৃঙ্খল যুবক বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে লুটপাট করেছেন, তাঁদের ‘আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের দোসর’ বলে আখ্যা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। এর নেপথ্যে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের ইন্ধনের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

একই সঙ্গে লুটপাটকারী ও হামলাকারীদের দ্রুত শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে হেফাজত বলেছে, লুটপাটকারী ও হামলাকারীরা কোনোভাবেই তৌহিদি জনতার অংশ হতে পারে না।

আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান।

বিবৃতিতে বলা হয়, শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচির সুযোগে কিছু উচ্ছৃঙ্খল যুবক (আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের দোসর) দেশের কয়েকটি জায়গায় বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে লুটপাট করেছেন। লুটপাটকারী ও হামলাকারীরা কোনোভাবেই তৌহিদি জনতার অংশ হতে পারেন না। যাঁরাই হঠকারী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আলেম সমাজ ও তৌহিদি জনতাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করবেন, তাঁদের আলেম সমাজ প্রত্যাখ্যান করবে।

মুসলিম বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ ছাড়া দখলদার অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েলকে নির্মূল করা যাবে না বলে মনে করছে সংগঠনটি।

বিবৃতিতে তাঁরা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা দখলে নেওয়ার বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তাঁরা বলেন, এই বক্তব্য জাতিসংঘ সনদের ২ নম্বর আর্টিকেল লঙ্ঘন করে। গাজা একটি স্বাধীন ভূখণ্ড। বিশ্বের কোনো স্বাধীন ভূখণ্ড দখল বা নিয়ন্ত্রণের অধিকার তাঁর (ট্রাম্প) নেই। নেতানিয়াহুর দোসর হিসেবেই তিনি এমন বক্তব্য দিয়েছেন।

এসএসসি পরীক্ষা–২০২৫, প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়ালে আইনি ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: বুধবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:৩৯ পূর্বাহ্ণ
   
এসএসসি পরীক্ষা–২০২৫, প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়ালে আইনি ব্যবস্থা
আগামী বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) থেকে শুরু হচ্ছে ২০২৫ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এ বছর ১৯ লাখ ২৮ হাজার পরীক্ষার্থী দেশের বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এ পরীক্ষায় অংশ নেবে। সুষ্ঠু, সুন্দর ও সম্পূর্ণ নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আজ মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। প্রশ্নপত্র ফাঁস, গুজব, নকল বা অসদুপায় অবলম্বনের সঙ্গে জড়িতদের ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। কমিটির সভাপতি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবিরের সই করা এ–সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘আগামী বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) থেকে অনুষ্ঠেয় এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা সুষ্ঠু, সুন্দর ও সম্পূর্ণ নকলমুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে পরীক্ষার্থী যাতে পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট পূর্বে পরীক্ষার হলে আসন গ্রহণ করে ও মোবাইলসহ যেকোনো প্রকার ইলেকট্রনিক ডিভাইস বা নকল নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে না আসে এবং সামাজিক যোগাযোগ বা অন্য কোনো মাধ্যমে প্রশ্নপত্র পাওয়ার চেষ্ট না করে, সে বিষয়ে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টি করার জন্য পরীক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক সমাজ, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকেরাসহ সব নাগরিকের সহযোগিতা কামনা করছি। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস সম্পর্কিত গুজব ঘটনা, নকল/অসদুপায় অবলম্বনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি/ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পাবলিক পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) আইন ১৯৮০, তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি আইন ২০০৬ এবং এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা পরিচালনা নীতিমালা ২০২৫ অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

ভুয়া মুক্তি যোদ্ধা সাব রেজিস্ট্রার সোহরাব হোসেন সরকার বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে

ক্রাইম রিপোর্টার আহসান হাবীব নরসিংদী
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫, ১:৩৬ পূর্বাহ্ণ
   
ভুয়া মুক্তি যোদ্ধা সাব রেজিস্ট্রার সোহরাব হোসেন সরকার বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে

 

 

 

মুজিবনগর সরকারের কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ পাওয়া সাব-রেজিস্ট্রার সোহরাব হোসেন সরকার এর  বিরুদ্ধে রয়েছে ব্যাপক ঘুষ-দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ। সে আইনের অপব্যাখ্যা দিয়ে মোটা অংকের টাকা নিয়ে সরকারি খাস জমি নিবন্ধন, জমির শ্রেণি পরিবর্তনসহ খাজনা খারিজ ব্যাতিত ভূমি নিবন্ধন করছে অহরহ। ফলে সরকার মোটা অংকের রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। দুর্র্নীতিবাজ সাব-রেজিস্ট্রার সোহরাব হোসেন সরকার এর  বিরুদ্ধে দুদকে রয়েছে অভিযোগের পাহাড়। তার রয়েছে জ্ঞাত আয় বহির্ভুত প্রচুর ধন সম্পদ।

সরেজিমনে অনুসন্ধনে জানা যায়, দেশের শীর্ষ দুর্নীতিবাজ এ সাব-রেজিস্ট্রার সোহরাব হোসেন সরকার   মুজিবনগর সরকারের ভূয়া সনদ দাখিল করে সাব-রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ পেয়েছেন

সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে  যোগদান করেই নানা অপকর্ম করে দুহাতে কামিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা

। তারপর  সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে। সেখানে বনের জমি ব্যক্তিমালিকানায় দলিল রেজিস্ট্রি করে হয়ে জান টাকার কুমির।  শত শত একর বনভূমি মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে বিভিন্ন কোম্পানীর নামে দলিল রেজিস্ট্রি করে রাতারাতি কোটিপতি বনে চলে যান নরসিংদী সদর সাব রেজিস্ট্রার সোহরাব হোসেন সরকার

শুরু করেন নানা ফন্দি ফিকিরের দুর্নীতি। দলিল মূল্যের ১% অগ্রিম গ্রহণ ব্যতিত দলিল করেন না তিনি। সেরেস্তা ফি’র নামেও আদায় করেন দলিল প্রতি ৫  হাজার টাকা। হেবার ঘোষনা দলিলে প্রতি শতাংশে ১০০০ টাকা, বিনিময় দলিলে প্রতি শতাংশে ৫শ টাকা, হাইভেল্যুর নামে আদায় করেন ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত।

নকল প্রতি  নেন ১৫শ টাকা।  ঘুষখোর এ সাব-রেজিস্ট্রার সোহরাব হোসেন সরকার  সব ঘুষ-দুর্নীতির টাকা আদায় করে থাকেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলা রেজিস্ট্রারের অনুমতি ব্যতিত বহু দলিল কমিশনে রেজিস্ট্রি করে থাকেন তিনি। ডিআর এর নামেও বিভিন্ন খাত থেকে আদায় করে থাকেন প্রতি মাসে দেড় লাখ টাকা। দলিলের কমিশনে যেয়ে নরসিংদী  সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের পিয়ন মাহবুব  দাতা-গ্রহিতাদের ভয়ভীতি দেখিয়েও মোটা অংকের টাকা আদায় করে থাকে। কেউ টাকা দিতে অস্বীকার করলেই দলিল রেজিস্ট্রি বন্ধ রাখার অভিযোগ রয়েছে পিয়ন  মাহবুব এর বিরুদ্ধে। দুর্নীতি দমন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, সাব-রেজিস্ট্রার সোহরাব হোসেন সরকার

বিরুদ্ধে তারা ২টি অভিযোগ   দায়ের করেছে। ওদিকে সাব রেজিস্ট্রার সোহরাব হোসেন সরকার  অবৈধভাবে জ্ঞাত আয় বহির্ভুত অর্থ কামিয়ে হয়েছেন রাজধানী ঢাকায় একাধিক বাড়ি, গাড়ি ও মার্কেটের মালিক।

দুর্ণীতিবাজ সাব-রেজিস্টার সোহরাব হোসেন সরকার  দুদকের  দুটির তদন্তকারী কর্মকর্তাকে চার্জসীট দিতে বিলম্ব করতে মাসিক মোটা অংকের টাকা  দেয়া অব্যাহত রাখারও অভিযোগ রয়েছে। ফলে অভিযোগ

দুটি দায়েরের পর  অতিবাহিত হলেও প্রমানিত অভিযোগ থাকা সত্বেও চার্জসীট না হওয়ায় তিনি থেকে যাচ্ছেন ধরাছোয়ার বাইরে তাই এলাকাবাসীর জোর দাবী দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক সঠিক ভাবে তদন্ত করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে বিস্তারিত আরও জানতে আমাদের সঙ্গে থাকুন