খুঁজুন
শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

উত্তরা দিয়া বাড়ি বিআরটিএ মোটরযান পরিদর্শক নাজমুল হাসান ও সহকারী পরিচালক লিটন বিশ্বাস এর বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে

ক্রাইম রিপোর্টার মাহবুব
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫, ৮:১৪ অপরাহ্ণ
উত্তরা দিয়া বাড়ি বিআরটিএ মোটরযান পরিদর্শক  নাজমুল হাসান ও সহকারী পরিচালক লিটন বিশ্বাস এর বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে

উত্তরা দিয়া বাড়ি    বিআরটিএ অফিসে এডি ও মোটরযান পরিদর্শক নাজমুল হাসান ও সহকারী পরিচালক লিটন বিশ্বাস ও উমেদার দালাল জীবন ভাই এর  নেতৃত্বে মাসে লুটপাট কোটি কোটি  টাকা

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন, প্রবাদ আছে চোরে শুনে না ধর্মের কাহিনী, রাজধানীর উত্তরা বিআরটিএ দুর্নীতির আখড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ বাণিজ্য চলে এ যেন দেখার কেউ নেই। আর এসব নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে জীবন ভাই নামে পরিচিত দালাল জীবন ভাই এর মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার ঘুষ বানিজ্য হচ্ছে উত্তরা দিয়া বাড়ি

বিআরটি অফিসে  প্রতি লাইসেন্স বাবদ ৩০০০ টাকা ঘুষ নেওয়া হয়। প্রতিটা সেক্টরে ধাপে ধাপ এভাবে টাকা নিয়ে তাদের কার্যক্রম চালায়। ঘুষ ছাড়া কোন সেবাই পাওয়া যায় না উত্তরা বিআরটিএ। প্রায় ৩০০ জনের মত দালাল কাজ করছে উত্তরা বিআরটিএ আর এসব দালালদের মাস্টারমাইন দালাল  জীবন ভাই এর  মাধ্যমেই ঘুষের  টাকা উপর লেভেলের কর্মকর্তার কাছে চলে যায়। এসব ঘুষের টাকা ভাগ বাটোরা করেন   মোটরযান পরিদর্শক এডি নাজমুল হাসান নিজে । ঘুষ খেয়ে মুখ বন্ধ হয়ে যায় অটো পাস এ যেন এক গণেশের কেরামতি খেলা।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কথা উঠলেই যানবাহন-সংশ্লিষ্ট সবার চোখের সামনে এক ভয়াবহ দুর্নীতির চিত্র ভেসে ওঠে।

 

 

ভোগান্তির অপর নাম যেন বিআরটিএ। তবে দালালের শরণাপন্ন হলে সহজেই হয়ে যায় ভোগান্তির উপশম। আর এ জন্য গুনতে হয় মোটা অঙ্কের ঘুষ

বিআরটিএ কার্যালয়ের পরতে পরতেই ঘুষ । প্রতিটি কাজের জন্য ঘুষ । দালালচক্রের মাধ্যমে প্রতিটি কাজের জন্য ভিন্ন ভিন্ন রেটে ঘুষ  আদায় করা হয়।

উত্তরা বিআরটিএ কার্যালয়ের এ চিত্র উঠে এসেছে অনুসন্ধানী প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়েছে, নম্বর প্লেট, ফিটনেস, লার্নার, মালিকানা পরিবর্তন, রেজিস্ট্রেশন এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স সংক্রান্ত কাজে সেখানে ঘুষ  বাণিজ্য ওপেন সিক্রেট।

ঘুষ  দিয়েই পাশ করা যায় ড্রাইভিং লাইসেন্সের পরীক্ষায়; দক্ষতা প্রমাণের দরকার হয় না। ঘুষ  দিয়েই ফিটনেস সার্টিফিকেট পাওয়া যায় ফিটনেসবিহীন গাড়ির।

ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে এসে প্রতিটা ধাপে ধাপে ঘুষ দিতে হয় ঘুষ বাণিজ্য ছাড়া কোন  কাজ করা হয় না আর এসব ঘুষ বাণিজ্যের ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে আসা হয়রানির শিকার হয়েছেন এমনই এক ভুক্তভোগি মোঃ কাজল জানান তিনি ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে আটজন দালালকে ২০০০০ টাকা দিয়েছেন কিন্তু তার কাজ সম্পন্ন হয়নি।  ছয় মাস ধরে তাকে ঘুরাচ্ছে এই ভুক্তভোগী কাজলের বাড়ি রুপগঞ্জ তিনি এখনও ড্রাইভিং লাইসেন্স পায় নি। আট জন দালালের মধ্যে দুজনের নাম পাওয়া গেছে দালাল কামাল দালাল সুমন। এ বিষয়ে উত্তরা বিআরটিএ দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন ধরনের বক্তব্য দিতে নারাজ। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের বিআরটিএ ভয়াবহ দুর্নীতির চিত্র ভেসে উঠে ভোগান্তির অপর নাম যেন বিআরটিএ।

এ চিত্র কেবল উত্তরা দিয়া বাড়ি  বিআরটিএ কার্যালয়ের নয়, দেশের প্রায় সব বিআরটিএ কার্যালয়েই কম-বেশি এ অবস্থা বিরাজ করছে।

দালালদের বিরুদ্ধে মাঝে মাঝে সরকারের পক্ষ থেকে অভিযান চালানো হয়। কিছুদিন পরিস্থিতি অপেক্ষাকৃত ভালো থাকে; তারপর আবার সবকিছু আগের মতো।

এর কারণ দালালদের তৎপরতা চলে বিআরটিএ’র একশ্রেণির দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে। মূলত তারাই দালালদের পৃষ্ঠপোষক। তাই বন্ধ হয় না বিআরটিএ কার্যালয়ের দুর্নীতি এবং দালালদের অপতৎপরতায় প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ বাণিজ্য চলে।

বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। কারণ এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে সড়কের নিরাপত্তার বিষয়টি। অদক্ষ চালক লাইসেন্স পেয়ে গাড়ি চালালে অথবা সড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ি চললে এর পরিণতি কী হতে পারে, তা সবার জানা। বস্তুত এসব কারণেই দেশে সড়ক দুর্ঘটনা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।

তাই সরকারের উচিত এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া এবং বিআরটিএ কার্যালয়ে সার্বক্ষণিক নজরদারির ব্যবস্থা করা।

তবে সেক্ষেত্রে দেখতে হবে শর্ষের ভেতরেই যেন ভূত না থাকে। অর্থাৎ নজরদারির দায়িত্ব যাদের দেওয়া হবে, তারাও যেন দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে না পড়ে।

আমরা মনে করি, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নিজেদের দুর্নীতিমুক্ত রাখতে পারলে নিম্নপর্যায়ের দুর্নীতিও রোধ করা সম্ভব। মুশকিল হচ্ছে, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘুষের লোভ সংবরণ করতে পারেন না।

তাই আশকারা পায় অধস্তনরা, গজিয়ে ওঠে দালালচক্র। সড়ক পরিবহণ মন্ত্রণালয় তথা সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় যদি বিআরটিএ’র দুর্নীতি রোধে আন্তরিক হয়, একমাত্র তাতেই মিলতে পারে সুফল। উত্তরা বিআরটিএ দুর্নীতির সাথে দালাল সহ যারা জড়িত তাদের নাম মোটরযান পরিদর্শক  এডি নাজমুল হাসান ও সহকারী পরিচালক লিটন বিশ্বাস ও উমেদার দালাল জীবন এর বিরুদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগ পাওয়া গেছে উত্তরা দিয়া বাড়ি

বিআরটিএ  অফিসের AD ও মোটরযান পরিদর্শক নাজমুল হাসান ও লিটন বিশ্বাস ও  কথিত অফিস স্টাফ ও দালালদের সাথে আঁতাত করে প্রতিমাসে কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন  এডি নাজমুল হাসান
রোড পারমিট, মালিকানা বদল, ফিটনেস, চোরাই গাড়ির জাল কাগজ প্রস্তুত ও ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান, নাম্বার প্লেট, অকৃতকার্য মোটরযান চালকদের কাছ থেকে মোটা অংকের দক্ষিণা নিয়ে গ্যারান্টি সহকারে ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করে দিয়েই মূলতঃ এঁরা লুটপাট বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে প্রতিবছর সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব বঞ্চিত হলেও মোটরযান পরিদর্শক এডি নাজমুল হাসান  গড়েছেন নামে বেনামে অবৈধ সম্পদের পাহাড়।
নাজমুল হাসান  দপ্তরে ব্যাংকের মাধ্যমে সরকারী ফিস জমা বাদেও প্রতিটি ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে নেন ১০/১২ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা। প্রতিটি রোড মারমিট থেকে গোপনে হাতিয়ে নেন ২ লাখ টাকা থেকে ১০/১২ লাখ টাকা।  চোরাই গাড়ির জাল কাগজ প্রস্তুতে নেন গাড়ির মূল্যমান ও শ্রেণী বিশেষে ২ থেকে ৫ লাখ টাকা। মালিকানা বদলের ক্ষেত্রে ২০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা। কাগজে ত্রুটি থাকলে গোপনে হয় মোটা অংকের লেনদেন।গাড়ির ফিটনেস বাবদ নেন ২৫/৩০ হাজার টাকা করে।
এসব টাকার ৪০% নেন এডি নাজমুল হাসান  ও সহকারী পরিচালক লিটন বিশ্বাস  ( ইঞ্জি:), ৩৫% টাকা নেন  আর বাকি ২৫% টাকা যায় অফিস স্টাফ আর দালালদের পকেটে।  এডি ও পরিদর্শক নাজমুল হাসান  যৌথ উদ্যোগে এই অসাধু উপায়ে অর্জিত টাকা থেকে হেড অফিস ম্যানেজের নামে একটি অংশ চলে যায় দক্ষিণার নামে।
এভাবেই তারা সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে প্রতিমাসে হাতিয়ে নিচ্ছেন কোটি টাকা।
অনুসন্ধানে জানা যায় শেখ হাসিনা সরকারের আমলে নিজেদেরকে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও শেখ হাসিনার প্রিয়জন পরিচয় দিয়ে তারা কর্মস্থলগুলোতে স্ব-স্ব ক্ষৃমতার বলয়ে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালি সিন্ডিকেট।
জনশ্রুতি আছে জুলাই আগস্ট ২০২৪ এর ছাত্র আন্দোলন দমন করতে এডি ও মোটরযান পরিদর্শক নাজমুল হাসান  প্রতিরাতে স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের সাথে করতেন গভীর শলাপরামর্শ।  আর ছাত্র আন্দোলন দমাতে লক্ষ লক্ষ টাকা ছাত্রলীগ ও যুবলীগ ক্যাডারদের মাঝে বিতরণ করেন।
তবে ৫ই আগষ্ট পট পরিবর্তনে শেখ হাসিনা দিল্লি পালিয়ে গেলে এডি ও মোটরযান পরিদর্শক নাজমুল হাসান  টানা প্রায় ২ সপ্তা লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যান। তবে কিছুদিন পর সবকিছু স্বাভাবিক হতে থাকলে আস্তে আস্তে এঁরাও মাটি ফুঁড়ে বের হতে থাকে। এরপর সপ্তাহ খানেক ফেরেস্তা সেজে থাকলেও এখন আবারো শেখ হাসিনার দোসর এই চক্র পূর্বের ন্যায় স্বমহিমায় উদ্ভাসিত বিস্তারিত আরও জানতে আমাদের সাথে থাকুন সারা বাংলাদেশের দুর্নীতি বাজ দের মুখোশ খুলে দিতে আমরা আছি আপনাদের মাঝে সিরিজ নিউজ

সপ্তাহের ব্যবধানে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম ঊর্ধ্বমুখী

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: বুধবার, ২১ মে, ২০২৫, ৪:৫৮ অপরাহ্ণ
   
সপ্তাহের ব্যবধানে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম ঊর্ধ্বমুখী

ডলারের মান কমে যাওয়ায় সপ্তাহের ব্যবধানে বিশ্ববাজারে ঊর্ধ্বমুখী স্বর্ণের বাজার। কর বিল নিয়ে মার্কিন রাজস্ব নীতিতে অনিশ্চয়তা ও ডলারের মান নেমে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীদের মূল্যবান এই ধাতুটির ওপর আস্থা বেড়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে বুধবার (২১ মে) স্পট গোল্ডের দাম প্রতি আউন্সে দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে ৩ হাজার ৩০৫ দশমিক ৩৯ ডলারে দাঁড়িয়েছে। যা গত ১২ মে’র পর বিশ্ববাজারে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দর।

গত ৭ মে থেকে ক্রমাগত পতনের মুখে ডলারের মান। এর ফলে বিদেশি মুদ্রাধারীদের জন্য গ্রিনব্যাক-মূল্যের স্বর্ণ অনেকটাই সস্তা হয়ে গেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সাধারণ ডলার সূচক ১ পয়েন্টের বেশি হ্রাস পেয়েছে। সেই সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কর বিল নিয়ে আলোচনাও ডলারের মান কমায় প্রভাব ফেলছে। যা বিনিয়োগকারীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে স্বর্ণের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

এদিকে বিশ্ববাজারে দাম বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। সবশেষ গত শনিবার (১৭ মে) ভরিতে ১ হাজার ৩৬৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৯৮ টাকা। পরদিন রোববার (১৮ মে) থেকে দেশের বাজারে নতুন এই দরে স্বর্ণ ক্রয়-বিক্রয় চলছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, বর্তমানে ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৯৮ টাকা। পাশাপাশি ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৫৯ হাজার ৫০৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ১ লাখ ৩৬ হাজার ৭১৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ৯৭৮ টাকা।

আওয়ামী লীগের  দোসররা রাজবাড়ী জেলা রেজিস্ট্রার শেখ কাউছার আহমেদ বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার ঘুষ বানিজ্য অভিযোগ উঠেছে

ক্রাইম রিপোর্টার
প্রকাশিত: সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫, ৩:৪৫ অপরাহ্ণ
   
আওয়ামী লীগের  দোসররা রাজবাড়ী জেলা রেজিস্ট্রার শেখ কাউছার আহমেদ বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার ঘুষ বানিজ্য অভিযোগ উঠেছে
-ফাঁদ পেতে ও নানা খাত তৈরি করে অসৎ উপায়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে রাজবাড়ী জেলা রেজিস্ট্রার শেখ কাওসার আহমেদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে । ঘুষ আদায়ের খাতসমূহ হচ্ছে, জেলার অধীনস্থ ৫  সাব-রেজিস্ট্রার কাছ থেকে জোরপূর্বক দলিল প্রতি দেড়শ টাকা আদায়, দলিলের নকল প্রতি দুইশ থেকে তিনশ টাকা আদায়, বিদ্যুৎ বিলের নামে দলির প্রতি অর্থ আদায়, মোহরার থেকে অফিস সহকারী ও নকল নবীশদের পদোন্নতির নামে টাকা আদায় এবং জমির শ্রেণি ও দলিলের পাতা পরিবর্তন। রাজবাড়ী জেলা রেজিস্ট্রারের নানা দুর্নীতি-অনিয়ম ও বিতর্কিত কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে তার অধীনস্থ কারো মূখ খোলার সাহস নেই বলে জনশ্রুতি আছে। প্রতিবাদ করার কেউ না থাকায় অনেকটা বেপরোয়া এখন তিনি। সংক্ষুদ্ধ ও বঞ্চিত একটি পক্ষ এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে ন্যায় বিচার পেতে অভিযোগ করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)। দুর্নীতি বিরোধী এই প্রতিষ্ঠান অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্তের কথা ভাবছে। চলতি মে মাসের ১১ তারিখে দুদক চেয়ারম্যান বরাবর এই অভিযোগ দাখিল করেন সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের একজন নকল নবীশ। সব অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করেছেন। রাগান্বিত হয়ে এ প্রতিবেদককে  জেলা রেজিস্ট্রার শেখ কাওসার আহমেদ বলেন, এখন আমার কি করার আছে। বলেন, আপনাকে আমি কি চিনি? আপনি সাংবাদিক বললেই কি হবে না কি?। এক পর্যায়ে বলেন, আপনি আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দুদক থেকে পান বা মঙ্গলগ্রহ থেকে পান; আমার অফিসে বিমানে কিংবা উড়ে পারেন আসেন; আমি বক্তব্য। উত্তেজিত হয়ে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন তিনি। দুদকে করা অভিযোগ থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে, রাজবাড়ী জেলা রেজিস্ট্রার শেখ কাওসার আহমেদ নারায়নগঞ্জ বন্দর সাব রেজিস্ট্রার থেকে জেলা রেজিস্ট্রার ( ডিআর) পদে পদোন্নতি  পেয়ে রাজবাড়ী বদলি হয়ে আসার পর থেকেই নানা খাত দেখিয়ে বহুমূখী পন্থায় দুর্নীতির জাল বিছিয়ে দেন। প্রথম টার্গেট করেন তার অধীনস্থ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসগুলোকে। সেগুলো হচ্ছে, সদর উপজেলা, বালিয়াকান্দি, কালুখালী,  পাংশা ও  গোয়ালন্দ উপজেলা। এই অফিসগুলো থেকে প্রতিটি দলিলের বিনিময়ে ২৫০ টাকা উৎকোচ নেয়ার ঘোষণা দেন তিনি। একই সঙ্গে সদর রেকর্ড রুম ও জেলার ৫টি রেজিস্ট্রি অফিসেই তিনি দলিলের নকল প্রতি সাড়ে তিনশ টাকা আদায় করেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। এসব অফিসে প্রতিদিন গড়ে আনুমানিক ৪০০-৫০০টি দলিল রেজিস্ট্রি ও সম-পরিমাণ নকল উঠানো হয়, যা অভিযোগে তুলে ধরা হয়েছে। এসব খাত থেকে তার দৈনিক আয় দুই লাখ টাকার বেশি। এদিকে, বিদ্যুৎ বিলের নামে দলিল প্রতি একশ টাকা নিলেও সরকারি কোষাগারে কম দেখিয়ে এখাত থেকেও মাসে মোটা অংকের টাকা আত্নসাৎ করেন বলেও ওই রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। মোহরার থেকে অফিস সহকারী পদে পদোন্নতি দিয়ে এখান থেকেও অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। একই সঙ্গে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের নকল নবীশদের পদোন্নতি দিয়ে বাগিয়ে নেন বড় অংকের টাকা। আবার নকল নবীশদের গ্রেডেশন তালিকা করার নামে তাদের কাছ থেকে জনপ্রতি অর্ধ লাখ করে টাকা গ্রহণ করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, সুচতুর ও মতলববাজ এই কর্মকর্তা পতিত আওয়ামীলীগ সরকারের মেয়াদে নিয়োগকৃত ভূয়া অনুমোদন পত্রের ভিত্তিতে এক ডজন নকল নবীশকে তাদের নিয়োগ বৈধ করার ধোঁয়া তুলে হাতিয়ে নিয়েছেন মোটা অংকের টাকা। এভাবে, সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে নিরীক্ষা ও পরিদর্শনের নামে অর্থ বাণিজ্য করেন শেখ শাহনেওয়াজ  বলেও অভিযোগ রয়েছে। একই ভাবে, – সারপ্রাইজ ভিজিটে গেলে এক লাখের নিচে নামেন না তিনি। আবার তিনি।  তিনি মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন জমির শ্রেণি ও দলিলের পাতা পরিবর্তন করে। শেখ শাহনেওয়াজ এর আগে শিল্প এলাকা নারায়নগঞ্জের বন্দরে চাকরির সুবাধে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার তকমা পান তিনি। আর রাজবাড়ী এসে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে গড়ে তুলেছেন। এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ঘুষ দুর্নীতি বন্ধে দুদকের জরুরি হস্তক্ষেপ দাবি রাজবাড়ী জেলা বাসীর
বিস্তারিত আরও জানতে আমাদের সাথে থাকুন সারা বাংলাদেশের দুর্নীতি বাজ দের মুখোশ খুলে দিতে আমরা আছি আপনাদের মাঝে

ঢাকা ওয়াসার এমডির দায়িত্বেও দক্ষিণ সিটির প্রশাসক শাহজাহান মিয়া

নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫, ৩:২৬ অপরাহ্ণ
   
ঢাকা ওয়াসার এমডির দায়িত্বেও দক্ষিণ সিটির প্রশাসক শাহজাহান মিয়া

স্থানীয় সরকার বিভাগের উন্নয়ন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. শাহজাহান মিয়াকে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি বর্তমানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

রোববার (১৮ মে) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে সই করেছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আকবর হোসেন।

প্রজ্ঞাপনে শাহজাহান মিয়ার পূর্বের অতিরিক্ত দায়িত্ব ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসকের পাশাপাশি ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্বের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়।